spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

করোনাভাইরাস: আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: ফ্রান্সের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববাসীকে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্ড ফিলিপ। তিনি বলেছেন, সামনে আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে। দেশজুড়ে করোনার সুনামি বয়ে যেতে পারে। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলেও কড়া সতর্কতা জারি করেছেন তিনি।

করোনা নিয়ে রাজধানী প্যারিসে শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক করেন ফিলিপ। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এক মহা সংকটের মধ্যে আছি। যা বহুদিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

লন্ডন, মাদ্রিদ ও নিউইয়র্কের মতো স্রোতের মতো করোনার রোগী আসছে প্যারিসের হাসপাতালগুলোতে। প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এদিকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতোই ফ্রান্সে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটিতে প্রতি তিন দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

পরিস্থিতিকে ইতিমধ্যে ‘অত্যন্ত ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান জেরোম সলোমন। দেশটির ২৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি করোনায় কবলে পড়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি। মৃত্যুর হার ২১ শতাংশে। তবে মৃত্যুর এই সংখ্যাটি কেবল হাসপাতাল নির্ভর। স্পেনের মতো বাড়িতে বাড়িতে বহু বুদ্ধ মানুষ মারা গেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এটা যুক্ত হলে মৃত্যুর মিছিল আরও বড় হবে।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ জননিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে লকডাউন তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে থমকে আছে ফ্রান্সের স্বাভাবিক জীবনযাপন।

গত ১৪ মার্চ থেকে দেশটিতে ফার্মেসি, গ্রোসারি শপ, টোব্যাকো শপ, পোস্ট অফিস, ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ