সঠিক কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠাতে ব্যর্থ ভারতীয় রকেট

সেন্সরে জটিলতার কারণে সঠিক কক্ষপথে “স্যাটেলাইট পেলোড” পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে ভারতের প্রথম উৎক্ষেপিত রকেট।

- Advertisement -

রবিবার (৭ আগস্ট) ভারতের দক্ষিণ-পুর্ব উপকুলে অবস্থিত “সাতিশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার” থেকে দুটি স্যাটেলাইট নিয়ে এই রকেটটি উৎক্ষেপন করা হয়। এটি ছিল “স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (এসএসএলভি)”,  যার উচ্চতা ১১২ ফুট।

উৎক্ষেপণের পাঁচ ঘন্টা পর রকেটের ডেটা হারানোর খবরটি জানিয়েছেন “ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)”-এর কর্মকর্তারা। এর পরপরই অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় ইসরো।

ভিডিও বার্তায় ইসরো চেয়ারম্যান এস. সোমানাথ বলেন, “শুরুতে পুরো নভোযানই ভালোভাবে কাজ করছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত স্যাটেলাইট দুটিকে ভুল কক্ষপথে ফেলে আসে এটি। স্যাটেলাইটগুলো বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তে একটি উপ-বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে।”

তিনি জানান, রকেটের তিনটি “কঠিন-জ্বালানীযুক্ত” ধাপ ভালোভাবে পেরোলেও এর চতুর্থ এবং চূড়ান্ত ধাপ, একটি তরল-জ্বালানিযুক্ত “ভেলোসিটি ট্রিমিং মডিউল (ভিটিএম)” বাধার মুখে পড়ে।

স্যাটেলাইট বসানো কক্ষপথটি স্থির ছিল না উল্লেখ করে স্যাটেলাইটগুলোকে অব্যবহারযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে এরইমধ্যে সেগুলো নামিয়ে আনার কথা বলেছেন সোমানাথ।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট স্পেসডটকমের প্রতিবেদন বলছে, এই সব স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৬ কিলোমিটার দূরের বৃত্তাকার এক কক্ষপথে বসানোর কথা থাকলেও রকেটটি স্যাটেলাইটগুলো এমন এক কক্ষপথে বসিয়েছে, যেটি ভূপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫৬ কিলোমিটার ও সর্বনিম্ন ৭৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে, টুইটারে ইসরো কর্মকর্তারা বলেছেন, সময়মতো শনাক্ত না করা একটি “সেন্সর ব্যর্থতার” কারণে ভুল কক্ষপথের সমস্যাটি ঘটেছে। এই ব্যর্থতা নিয়ে তদন্তের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

টুইটারে সোমনাথ বলেন, “আমরা এখন যা করতে যাচ্ছি, তা হলো এই নির্দিষ্ট সমস্যাটি চিহ্নিত করা– কেন এটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং অগ্রহণযোগ্য একটি কক্ষপথে চলে গেল।এসএসএলভি’ রকেটের দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক অভিযানের জন্য সমস্যাগুলো সমাধানে তদন্ত করবে ইসরো। কিন্তু ওই সমস্যার জন্য, আমরা আর কোনো অসঙ্গতি দেখতে পাইনি। এই রকেটে সংযোজিত প্রতিটি নতুন উপাদানই খুব ভালোভাবে কাজ করেছে।”

রবিবারের অভিযানটির মূল পেলোড ছিল ১৩৫ কেজি ওজনের পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট “ইওস-০২”।

একইদিনে পাঠানো দ্বিতীয় স্যাটেলাইট ছিল “আজাদিস্যাট” নামে পরিচিত আট কেজি ওজনের একটি কিউবস্যাট। ছোট এই নভোযানে ছিল ৭৫টি আলাদা পেলোড।

সর্বশেষ