নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানো ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দিলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন ওই অটোরিকশার চালক মো. আবদুস সবুর।
তাঁর বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা এলাকার ইছামতি আলীনগরে। ওই এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে তিনি। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া কলেজ গেট এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বালুবোঝাই ওই ট্রাকের সামনে ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। পেছন থেকে পুলিশের একটি গাড়ি ধাওয়া করছিল ট্রাকটিকে। দ্রæত গতিতে পালাতে গিয়ে অটোরিকশাটিকে পেছনে ধাক্কা দেয় ট্রাক। তখনই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই অটোরিকশার ভেতরে থাকা চালক পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান।’
এদিকে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতির কথা শোনা গেলেও হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ এরফান বলেছেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের কোনো টিম সেখানে ছিল না।’
ওসি বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের কোনো লোক ওখানে যায়নি। আমরা যতটুকু জেনেছি, জেলা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট সবুজের নেতৃত্বে বেলা দেড়টা থেকে সেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল।’
কাগজপত্র পরীক্ষা করার জন্য বালুবোঝাই ডাম্পট্রাকটিকে পুলিশ সংকেত দিলেও সেটি থামেনি জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘এক পুলিশ কনস্টেবল গাড়িটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু চালক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালাতে থাকেন। বেপরোয়া গতিতে চলার একপর্যায়ে পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশা চালক গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি এবং ড্রাইভিং সিটে আগুনে পুড়ে মারা যান।’
এ ঘটনায় পুলিশ ডাম্পট্রাকটি আটক করেছে। কিন্তু চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
