spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

শিরোপার লড়াইয়ে প্রস্তুত ক্রোয়েশিয়া-ফ্রান্স

spot_img

বিশ্বকাপের শিরোপার জন্য চুড়ান্ত লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত দুই ফাইনালিষ্ট ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্স। ইতিমধ্যে দুই দল নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। আগামীকাল মস্কোর লুজনিকিতে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনাল। হাতে সময় কম। তারপরও এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ফাইনালের মঞ্চে নিজেদের দাঁড় করানো কঠিন কাজ। ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্সের কোচ দু’জনেই জানিয়েছেন খুব ঘনঘন খেলতে হলেও এটাই বিশ্বকাপ ফুটবলের নিয়ম। এখানে কোনো বিশ্রামের সুযোগ নেই। আপনাকে যুদ্ধ করতে হলে ক্লান্ত হলে চলবে না। বিশ্রামের কথা বললে আপনার বিশ্বকাপ খেলার প্রয়োজন নেই। একটা যুদ্ধ শেষ না হতেই আরেকটা যুদ্ধের পরিকল্পনা; এটাই বিশ্বকাপ ফুটবল।
ফ্রান্স আগেও বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি ঘরে তুলেছে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ নিজেদের ঘরে আয়োজন করে তারা শিরোপা রেখে দিয়েছে। সেবার দলের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমান ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। ফরাসী ফুটবল দল আবার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে। আরেকটি শিরোপা জয়ের জন্য দিদিয়ের দেশম মাথা খাটাচ্ছন। ফুটবল দুনিয়া দেশমদের আগে থেকে চেনে। কিন্তু আড়ালে পড়ে থাকা ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে এবারই প্রথম। তাদের প্রতি মানুষের আগ্রহটা বেশি। ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের প্রতিও ফুটবল দুনিয়ার কদর বেড়েছে। কদর বেড়েছে দলের কোচ জালাতকো দালিচের। অথচ এই জালাতকো দালিচ ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিনা বেতনে। বিশ্বকাপের আগেই তাকে আরব দেশ থেকে এনে দায়িত্ব দেন ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ডেবর সুকর।
জালাতকো দালিচকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল দায়িত্ব নেয়ার আগে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন থেকে তাকে কি বলা হয়েছিল। জবাবে দালিচ বললেন,‘আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন আমার কোনো বেতন ছিল না। বিনা বেতনে চাকরি নিয়েছিলাম। আমি শর্ত দিয়েছিলাম যদি বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে দলকে তুলতে পারি তাহলে চাকরি এবং বেতনের বিষয়টির নিয়ে বসব। আপনারা শুনলে অবাক হবেন ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত আমার কোনো চুক্তিই ছিল না। অথচ আমি কাজ করে গিয়েছি। আমার জন্য এটা ভালো হয়েছে। কারণ দলের সাফল্যে আমি এখন সেরা কোচ হয়েছি।’
দালিচ আরব দেশের বিভন্ন ক্লাব ফুটবলে কাজ করেছেন। সেখান থেকে এসে সরাসরি ক্রোয়েশিয়ার কোচ হয়েছেন। তিনি বলেন,‘আমি ছোট ক্লাবে কাজ করলেও পরে এশিয়ার সেরা দুটি ক্লাবে কাজ করেছি। জানতাম বড় ক্লাব মানে বড় চাপ। ভুল হলে চাপ নিতে হয়। স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে কাজ করব। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে চাপ নিয়ে খেলে আমি বুঝতে পারছি কিভাবে সামাল দিতে হয়। আমার আত্নবিশ্বাস বেড়েছে। আপনারা দেখবেন ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে আমি সব সময় পজিটিভ থাকি। নেগেটিভ ফুটবল খেলিনি। ’
ক্রোয়েশিয়া অনেক যুদ্ধের পর এতো দূর এসেছে। ফুটবল খেলাটাকে তারা বুকে তুলে নিয়েছে। কারণ ফুটবলই পারে ক্রোয়েশিয়ার সব কিছু বদলে দিতে। দুর্ভাগ্য হলেও বলতে হচ্ছে আমরা এখানে পঞ্চাশ ষাট হাজার দর্শকের সামনে খেলছি। আমাদের দেশে এতো বড় স্টেডিয়াম নেই। আমরা নিজেদের প্রমাণ করেছি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ