spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে ইরান

spot_img

 

- Advertisement -

নতুন একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। দেশটিতে ইসলামিক বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে এ পরীক্ষা চালানো হয়। নতুন ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কমপক্ষে ১৩৫০ কিলোমিটার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী  আমির হাতামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম হোভেইজেহ। এর সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যথার্থভাবে এটি টার্গেটে আঘাত করেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে তার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

সমুদ্রপথে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় সাধারণত সেগুলোকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বলা হয়। আমির হাতামি বলেছেন, এ ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভাব্য স্বল্প সময়ে প্রস্তুত করা যায় এবং অনেক নিচু দিয়ে উড়ে যায়। তিনি ইরানকে তার প্রতিরক্ষা খাতে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে একটি বড় াস্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার মতে, ২০১৫ সালে এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের ঘোষণা দেয় ইরান, যার পাল্লা ছিল ৭০০ কিলোমিটার। এগুলোকে সোমার গ্রুপের ফেলা হয়েছে। তারই অংশ হলো হোভিজেহ ক্ষেপণাস্ত্র।
১৯৭৯ সালে ইরানে ঘটে ইসলামিক বিপ্লব। তাতে পশ্চিমাপন্থি শাহ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইরানের নাম হয়ে যায় ইসলামিক প্রতাজন্ত্র ইরান। তার বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে দেশটিতে শুক্রবার থেকে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুলুল্লাহ খামেনিইর সমাধিতে সমবেত হন কয়েক লাখ ইরানি।
মঙ্গলবার ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব এডমিরাল আলী শামখানি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছাই নেই ইরানের। এএফপি লিখেছে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্যোগে ইরান তার পারমাণবিক চুক্তি করে। এর ফলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির থেকে সরে আসে। কিন্তু ইরান তার ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নয়ন করছে বলে অভিযোগ আছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওই পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ আরোপ করেন। কিন্তু ওই চুক্তিতেই আটকে থাকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলো। তারা ইরানের বিরুদ্ধে দেয়া ট্রাম্পের অবরোধের সমালোচনা করে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ