spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

বল এখন পুলিশের কোর্টে

spot_img

 

- Advertisement -

মাসুদ আলম: চলমান মাদকবিরোধী অভিযানটিকে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ বলে মনে করি আমি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি সফল হবে তো? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’র কথা বলেছেন। ওনার আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে- ওনার এই সদিচ্ছার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে। বলা হচ্ছে, পুলিশ যদি আন্তরিক হয় তাহলে এই অভিযান সফল হতে তেমন একটা সময় লাগবে না। পুলিশ চাইলে সম্ভব, না চাইলে অসম্ভব। পুলিশকে উপেক্ষা করে এই দেশে কেউ মাদক ব্যবসায় করতে পারবে- একথা কিন্তু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না। যে দেশে একটা পান-বিড়ির ব্যবসায় করতে হলেও পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়, সেখানে মাদক বাণিজ্য নাহ, এ রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার। বলছি না যে সব পুলিশই মন্দ, তবে গোটা কয়েক দুষ্টের জন্য বদনামটা কিন্তু সহ্য করতে হয় পুরো বাহিনীকেই। সেই দুষ্ট পুলিশগণ খুব একটা অচেনাও নয়। প্রায়ই তাদের নিয়ে লেখালেখি হয় পত্রপত্রিকায়। প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’-এর ঘোষণা যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সেটা এই কতিপয় দুষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার জন্যই হবে। তবে এর দায় নিতে হবে পুরো পুলিশ বাহিনীকে, প্রকারান্তরে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে আমার কাছে খুব ‘পুলিশ বান্ধব’ বলে মনে হয়। যেকোনো বিতর্কে তিনি অবলীলায় পুলিশের পক্ষ নিয়ে নেন। মনে হয় যেন উনি জনগণের মন্ত্রী নন, পুলিশের মন্ত্রী। পুলিশের জন্য এই যে ওনার এত দরদ-ভালোবাসা, তার প্রতিদান দেওয়ার সুযোগ এবার পেয়েছে এই বাহিনীটি। মাদকবিরোধী অভিযানটিকে সফল করার মাধ্যমে পারে তারা সরকার প্রধানের কাছে তাদের এই ‘ভদ্রলোক’ মন্ত্রীর মুখ উজ্জল করতে। নয়তো দায় মাথায় নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে জনাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই। বল এখন পুলিশের কোর্টে। দেখা যাক, কি করে তারা। লেখক : কলামিস্ট ও সাংবাদিক

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ