বিএনপির এজেন্ডা তিনটি

 

- Advertisement -

বিএনপি এই মুহূর্তে তিনটি এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিন এজেন্ডার মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনমত সৃষ্টি করে জোটের পরিসর আরো বাড়িয়ে ঐক্য সৃষ্টি করা এবং সর্বশেষ সবাইকে নিয়ে আন্দোলন এমন পর্যায়ে নেয়া যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য হয়। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সংগঠন রুনেসা এই ইফতারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, বিএনপির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ ইফতার অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক নেতারা বক্তৃতা করেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সরকার নানা কৌশলে তার মুক্তি বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। দেশনেত্রীকে কারাবন্দী করার পর থেকেই আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছি। কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তাই ধীরে ধীরে আমাদের কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে হবে। আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব কিছুর একটা সময় আছে। আপনাদের সেই সময়ের জন্য অপো করতে হবে। সময় এলে অবশ্যই কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

মওদুদ আহমদ বলেন, তিনটি কারণে আওয়ামী লীগ কলঙ্কমুক্ত হতে পারবে না। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ আওয়ামী লীগের সময়কালে বাংলাদেশে দুর্ভি হয়েছিল। আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আরেকটি হলো রীবাহিনী। তাদের অত্যাচারে দেশের প্রায় ৪০ হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মী খুন হয়েছে। সবশেষ একদলীয় স্বৈরাচারী বাকশালী শাসনব্যবস্থা তারা কায়েম করেছে। এই তিন কলঙ্ক থেকে তারা মুক্ত হতে পারবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দিয়েছেন। ভারত থেকে প্রধানমন্ত্রী কিছুই আনতে পারেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সর্বশেষ