শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
spot_img

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নতুন ভাবনা

 

- Advertisement -

পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশী ভারতের সাথে ‘যুদ্ধের স্থান নেই’ বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। একই সাথে কাশ্মিরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটিকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশ এ দুই দেশের সব সঙ্কট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘কূটনীতির ব্যর্থতা হচ্ছে যুদ্ধ। আমরা পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুটি দেশ, এখানে যুদ্ধের কোনো স্থান নেই। সুতরাং সংলাপ অব্যাহত আছে। তবে ভারত সবসময় সংলাপ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, পাকিস্তান নয়।’

ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ মুক্ত হওয়ার ১৯৪৭ সালে বিভক্ত হয় পাকিস্তান-ভারত। কাশ্মির নিয়ে এ দুই দেশ তিনবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। উভয় দেশই কাশ্মিরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করলেও খণ্ডিত অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে।
লাইন অব কন্ট্রোল দ্বারা বিভক্ত ভারত অধিকৃত ও আজাদ কাশ্মির। এই লাইন অব কন্ট্রোলের উভয় পাশে ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। ২০০৩ সালে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হলেও সম্প্রতি তা পরস্পরের বিরুদ্ধে বারবার লঙ্ঘনের অভিযাগ করছে তারা।

চলতি বছর সীমান্তের পাকিস্তান অংশের টার্গেটে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কমপক্ষে ১ হাজার ৫৭৭ বার গুলি নিক্ষেপ করছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আসিফ গফুর বলেছেন, গুলিতে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত ও আরো ২৬৫ জন আহত হয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘২০১৮ সালে পাকিস্তান কমপক্ষে এক হাজার ৮৮ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে ৩৬ জন নিহত ও আরো ১২৭ জন আহত হয়েছেন। গত ২৯ মে দুই দেশের সেনাবাহিনী ২০০৩ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আবারো অঙ্গীকার করে। উভয় দেশের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সর্বশেষ