spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

গার্মেন্টস শ্রমিকের আমানত রাখা কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও

spot_img

 

- Advertisement -

মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ)
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

‌হাজার হাজার গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানি।
নগরীর সিইপিজেড এলাকার চৌধুরী মার্কেটের উপরে বিশাল ভবন ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ১০/১২ বৎসর ধরে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত বা সঞ্চয় নিয়ে অবশেষে রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা রূপসা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সকল কর্তব্যক্তি উধাও হয়েছে বলে শতশত গ্রাহক অভিযোগ করেছেন।
গত ,শুক্রবার বিকেলে শতশত গ্রাহক তাদের দাবিকৃত পাওনা টাকা আনতে গেলে অফিসের সামনে তালা ঝুলনো দেখে একে একে সবাই এসে ঝড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে এবং পরে তারা মূল সড়কে ব্যারিকেড দেন। এসময় প্রায় দেড় থেকে ২ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ঘটনা জেনে, নিকটস্থ ইপিজেড থানার নবাবগ ওসি(তদন্ত)উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নুরুল বাশার গ্রাহকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং সড়ক থেকে থানার সামনে আসতে বলেন। সড়কে, দাঁড়িয়ে থাকা সকল গ্রাহক ওসি তদন্তর কথা মেনে সকলে একত্রিত ভাবে থানার সামনে আসেন। আসার পরে, সকলকে নতুন ওসি তদন্ত সকল গ্রাহককে কাছে ডেকে সকলের অভিযোগ আমলে নেন। এক পর্যায়ে গ্রাহকের স্বচ্ছ আইনে টাকা পাইয়ে দেবার কথা আশ্বাস্ত করলে গ্রাহকরা ব্যারিকেড তুলে নেন।
পরে গ্রাহকদের পক্ষে আন্জুমান আরা বেগম নামে এক সদস্য রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা রূপসা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর্তব্যক্তিদের নামে উল্লেখ করে থানায় নতুন করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। আন্জুমান আরা রূপসার কাছে দেড় লাখ টাকার পাবার স্লিভ ডকুমেন্ট দেখান।
লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে থানার নতুন ওসি(তদন্ত) নুরুল বাশার বিষয়টি ভালো করে খোঁজ-খবর নিবেন বলে সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন। এদিকে শতশত গ্রাহকরা গতকাল থানার সামনে ঝড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে বলেন, রূপসা নিজেদের দোষ আড়াল করতে স্থানীয় সরকারদলীয় কিছু নেতার আশ্রায়-প্রশ্রয় নিয়ে বছর ১/২ এর মধ্যে অবশেষে আজ উধাও হয়েছেন।
গত ৭/৮ মাস আগে ঢাকা থেকে র‌্যাবের বিশেষ টিম এসে রুপসার প্রায় ১০-১২কোটি টাকা জব্ধকরে নিকটস্থ ইপিজেড থানার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক,চট্টগ্রাম কোতোয়ালী শাখায় জমা দিলে তারা উচ্চ আদালতে গ্রাহকের আমানত বলে টাকাটি ছাড়িয়ে নিয়ে যথাযত ভাবে গ্রাহকের কাছে ফিরিয়ে দেন নি।
আর এই টাকাটি মারার জন্য তারা রূপসা কিং, রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নাম করণ করে গ্রাহকের পাওনা টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেন, ঐ রূপসা কিং ওতাদের মালিকানাধীন ব্যক্তিরা পরিচালনা করতেন। রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা রূপসা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান কোং,ভাইস চেয়ারম্যান মূসা হাওলাদার,মোঃ রাসেল আহম্মেদ হাওলাদার, মোঃ জাকির হোসাইন,মোঃ এজাজ হোসেন হাওলাদার সহ আরো একাধিক স্বক্রিয় কর্তাব্যক্তি রূপসার কর্ণদার ছিলেন।
এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন-মোঃ জাকির হোসাইন,এমডি-মোঃ মুজিবুর রহমান কোং । কোম্পানী টি প্রায় ১যুগ ধরে সিইপিজেড এলাকার চৌধুরী মার্কেট ২-৩তলা,ঝনকপ্লাজার ৫-৬তলা এবং বন্দরটিলা ও হাসপাতাল গেট এলাকার বহুতল ভবন ক্রয় করে হাজার হাজার গ্রাহক কে লোভনীয় ডবল টাকা পাওয়া এবং ডবল বেনিফিট সহ ৪-৬মাসে দ্বিগুন,তিনগুন লাভের আশা দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখনো মূল টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
এই চক্রের সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের স্বক্রিয় নেতা- প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ভূইফুড় কিছু টাউট লোভী সাংবাদিক গোচরের লোক জড়িত হয়ে অনৈতিক কাজ কে উৎসাহ দিচ্ছেন।যারা প্রতি মাসে মাসুহারা নিয়ে অবৈধ কাজ কে বৈধবলে প্রচার করে নিরীহ গার্মেন্টস শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শ্রমজীবি মানুষের সঞ্চয়-আমানত জমা নিয়ে এখন সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন।
মূলত এরা সাপ্তাহিক/ মাসিক হারে জমা দিতেন। বেশী মুনফার প্রলোভনে ন্মিম শ্রেনী থেকে মধ্য শ্রেনীরা এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখতেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ