মো.মুক্তার হোসেন বাবু, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য। ঈদ জামাতগুলোকে ঘিরে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনটি জানালেন সিএমপির কর্মকর্তারা। এদিকে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গতকার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান। তিনি বলেন-বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও রমজানে শপিং মল, মার্কেট ও নগরীর ব্যস্ততম এলাকাসমূহে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। নগরবাসী নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ পরিবেশে পবিত্র রমজান মাস পালন করেছেন। একইভাবে মানুষ পবিত্র ঈদ উদযাপন করতে পারবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। তাই যে কোন ধরণের অনাকাংখিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। একই সাথে নাগরিকদের সচেতন থাকার উপরও গুরুত্বারোপ করেন মাহবুবুল আলম।
স্বাভাবিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়ে চেম্বার সভাপতি রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টি ইত্যাদি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ঈদ উপলক্ষে বৃহত্তর চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা মহাসড়ক ও নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কসমূহ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষকে যানজট ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টার অনুরোধ জানান। ঈদের আগে ও পরে সরকারী ছুটির কারণে শিল্পকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মার্কেট ও অফিস আদালত বন্ধ থাকার সময় ডাকাতি, লুটপাট ইত্যাদি প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাহবুবুল আলম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। চেম্বার সভাপতি পরিচালকমন্ডলীর পক্ষে চট্টগ্রামের প্রশাসন, পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, ব্যবসায়ী এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নেবো। নগরের বাসিন্দারা অনেকে ছুটিতে যাবেন। চুরি, ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বাসাবাড়ির নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা রাখবো। ফাঁকা বাসায় স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র না রাখার পরামর্শ দেন আমেনা বেগম। তিনি বলেন, ঈদ আসলে ছিনতাইকারী, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। আমরা এবার এসব নজরে রেখেছি। এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে। নগরের ব্যস্ত এলাকা ও শপিংমলগুলো ঘিরে নিয়মিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন আছে বলে জানান তিনি।