সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশে চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি বুধবার ভোরে (ওয়াশিংটন ডিসি সময় মঙ্গলবার বিকালে) ওয়াশিংটন ডিসিতে হাডসন ইনস্টিটিউট আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন। ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তা ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলামসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাডসন ইনস্টিটিউটের ‘ইনিশিয়েটিভ অন দ্য ফিউচার অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার’ ডিরেক্টর অপর্ণা পান্ডে গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের একার নয়, এটি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালালে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
তিনি বলেন, জ্বালানির ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি এবং সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিশ্বে যে আঘাত এসেছে তা বাংলাদেশেও পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি এই বৈশ্বিক সংকটের সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে তাদের আরো সোচ্চার ভূমিকা রাখা দরকার।
জ্বালানি উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এবং কৃষি ও শিল্প খাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যাপক অবদানের কারণে দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সরকার সৌর বিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বাড়াতে ‘পাইলট’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, প্রতিনিধি সভার পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, ন্যাশনাল ব্যুরো অফ এশিয়ান রিসোর্সেস, ইউএস ইনস্টিটিউট অফ পিস এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা ঘণ্টাব্যাপী গোলটেবিলে অংশ নেন।