বাংলাদেশকে নতুন ৫৫টি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দেড় হাজার কোটি ডলার দেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক মার্সি টেম্বন।
সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী সাক্ষাতে এ কথা জানান ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক মার্সি টেম্বন।
এসময় তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন অংশীদারিত্ব রূপরেখা তৈরি করছে বিশ্বব্যাংক। যার উপর ভিত্তি করে আগামীতে বাংলাদেশকে ঋণ দেবে সংস্থাটি।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে, দেশে ৫৫টি উন্নয়ন প্রকল্প চলছে, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা নিয়ে। গেল বছরও ১৬৭ কোটি ডলারের ঋণ ছাড় করেছে সংস্থাটি। প্রতিশ্রুতি আছে, আরো ৭৯০ কোটি ডলারের। যা আসছে বছরগুলোতে আরো বাড়বে বলে আশা সংস্থাটির বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক মার্সি টেম্বনের।
ঢাকায় দায়িত্ব শেষে বিদায়ের আগে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন আগামীর রুপরেখাও। তবে শুধু উন্নয়ন প্রকল্প নয়, চলমান অর্থনৈতিক চাপ সামাল দিতে, বিশ্বব্যাংকের কাছে বাজেট সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। ৭০ কোটি ডলারের সেই ঋণ নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে দুই পক্ষের।
ঢাকায় তিন বছরের দায়িত্ব শেষে মার্সি টেম্বন ফিরে যাচ্ছেন ওয়াশিংটনে, বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে। সেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে যোগ দেবার কথা রয়েছে তার।