ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ভারতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিষয়টি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির একাধিক সংবাদ মাধ্যম।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির ‘ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)’ শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের অনুমতির মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে। তবে তাদের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করেননি এবং তারা তথ্যটির বিস্তারিতও জানাননি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নিজস্ব কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলেছে, ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে আসা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাকে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও এফআরআরওর মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকার বৈধতা দেওয়া হয়। দেশটিতে উদ্বাস্তু সংক্রান্ত আইন না থাকায় এমন পদক্ষেপে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি নয়াদিল্লি তাঁর ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। দিল্লির ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এই মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। তবে কত দিনের জন্য এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং তাঁদের ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অভিবাসন ও পাসপোর্ট দফতর শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং এর সঙ্গে কূটনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। ঢাকা হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে যে নোট ভার্বাল পাঠিয়েছে, তার আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যথাসময়ে তার উত্তর দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন আরও বাড়াতে পারে।