আফসানা মিমি: একটানা বর্ষণে পাহাড় ধসের আশংকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরের ৪ সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত ৯ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে মাইকিং কার্যক্রম চলছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার প্রদীপ কান্তি রায় জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হচ্ছে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। প্রদীপ কান্তি জানান, ভোর ৪টা ৪১ মিনিটে কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ভাটা শুরু হয়। দ্বিতীয় জোয়ার আসে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। ভাটা শুরু হবে রাত সোয়া ১১টায়।
এদিকে সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এর পরেও যারা নিরাপদ স্থানে না গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করবেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। নগরের লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা যে কেউ সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।