ব্লাড সুগার হলেই খাবারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অন্যান্য রোগও শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। মিষ্টি তো একেবারেই বন্ধ, আর তার সাথে আরো কিছু খাবারকে বিদায় জানাতে হয়। তাই জেনে নিন কোন কোন খাবার খেলে ব্লাড সুগার কমবে।
দারচিনি
দারচিনিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে গ্লুকোজ মেটাবলিজম বাড়ায় আর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই প্রতিদিন আধ চামচ করে দারচিনি গুঁড়ো খেতে পারেন। নিয়িমিত কফিতে মিশিয়ে বা রান্নায় দারচিনি মিশিয়ে খেতে পারেন।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে বিটা-ক্যারোটিন অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকে। এই মিষ্টি আলু খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শিমের বিচি
শিমের বিচিতে যথেষ্ট প্রোটিন আর ফাইবার থাকে। এছাড়াও থাকে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
গাঢ় সবুজ রংয়ের শাক সবজি
সবজির মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। এছাড়াও ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট থাকে।
বেরি ফল
বেরি ফলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও ফাইবার, যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে আনে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি খেতে পারেন। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলেও খাওয়া যায় না ব্লাড সুগার হলে। তাই তার পরিবর্তে বেরি ফল খেতেই পারেন।
মাছ
সুগারের রোগীদের সপ্তাহে কম করে দুদিন মাছ খাওয়া উচিত কারণ এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
বাদাম
আখরোট, আমন্ড, চিনা বাদাম ইত্যাদি ধরনের বাদামে ফ্যাট, ভিটামিন, ফাইবার, মিনারেল থাকে যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। হার্টের অসুখও কমে অলিভ অয়েল খেলে।
টক দই
টক দইতে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত টকদই খেতেই পারেন। এটি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।