spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

কোরীয় দ্বীপে আর কোনো যুদ্ধ হবে না

spot_img

 

- Advertisement -

কোরীয় দ্বীপে আর কোনো যুদ্ধ হবে না। এখান থেকেই শান্তির নতুন সূচনা হলো। যৌথ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোরীয় দ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মতি জানিয়েছেন দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তারা কোরীয় দ্বীপে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিও সম্মতি জানান।

১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে যে সামরিক রেখা এই উপদ্বীপকে বিভক্ত করে রেখেছে, উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা হিসেবে ওই রেখা পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন কিম জং-উন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইন।

এরপর একটি নীল ফুটওভার ব্রিজে বসে খোশগল্পে মেতে ওঠেন তারা। সে সময় তাদের আশেপাশে আর কেউ ছিল না। গাছের ছায়ার নিচে চা পান করতে করতে দু’জনকে বেশ অন্তরঙ্গভাবে আলাপ করতে দেখা যায়। চারপাশে পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে।

তাদের ওই বৈঠকের পরই এক বিবৃতিতে দুই নেতার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়।ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন কিম-মুন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন সামরিক রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। তখন তাকে স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন-এর সাথে বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকের আগে কিম জং উন বলেছেন, দশ বছরের মধ্যে এই প্রথম দুই কোরিয়ার এই সম্মেলন নতুন ইতিহাস তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মুন জায়ে ইন বৈঠকে সমঝোতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৬০ বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা সামরিক রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন।

কিম জং উন সকালে যখন দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তাকে স্বাগত জানান।

দুই নেতা সেখানে হাতে হাত মেলান।সে সময় দু’জনকেই বেশ আন্তরিক এবং হাসিমুখে দেখা যায়। বৈঠকের স্থানে দুই নেতাই খোলামেলা আলোচনা করার কথা বলেছেন।

এদিকে, প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক এই সম্মেলনে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে।

দুই কোরিয়ার এই সম্মেলন এবং জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনা সামনে রেখে কিম জং উন পারমাণবিক পরীক্ষা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কার্যক্রম বন্ধ ররাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ