আওয়ামীলীগ একটি মিথ্যাচার পেশাধারী দল বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ পেশাদার মিথ্যাবাদী দল। এরা যে কতবড় জলজ্যান্ত মিথ্যা কথা বলার দল তার একটি নমূনা উল্লেখ করতে চাই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে-২০০৮ এর নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন-১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন, কিন্তু ২০১০-১১ সালে চালের দাম যখন ৪৫-৫০ টাকা তখন ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর অঙ্গীকারের কথা বিরোধী দলসহ গণমাধ্যমের কলামিষ্ট-সাংবাদিকরা বক্তব্য-বিবৃতি ও লেখানির মাধ্যমে তা প্রচার করলে সেই অঙ্গীকারের কথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন আমি ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলিনি। কিন্তু ২০১১ সালে ঢাকায় বিএনপি’র একটি জনসভায় শেখ হাসিনার ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর বক্তব্যে ভিডিও জনসম্মুখে প্রচার করা হয়। সুতরাং মিথ্যা বলাকে আওয়ামী লীগ অনৈতিক কাজ বলে মনে করে না।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ‘টপ টু বটম’ মিথ্যার সংস্কৃতিতে অভিষিক্ত। উন্মাদ একদলীয় শাসন জারি রাখতে গিয়ে তারা সারাদেশে রক্ত ঝরাচ্ছে।
পাঁচটি কারণে এখন সমাজে অরাজকতা চলছে-একটি হলো গণতন্ত্রহীনতা, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, ন্যায় বিচার না পাওয়া, সরকারী দলের নেতাকর্মীদের অনাচারে লিপ্ত হওয়া এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা। দেশে নৈরাজ্যের বিভিষিকা মানুষকে ভয়ের রাজ্যে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতিকেও অন্য দেশে শরণার্থী হতে হচ্ছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন-আমি সরকারের কথা শুনেনি বলেই আমাকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। সুতরাং এই ঘটনাতেই বোঝা যায়-দেশে আইনের শাসন নয়, সন্ত্রাসীদের শাসন চলছে। ক্ষমতাসীনরা জনমতের তোয়াক্কা না করে যেভাবে যক্ষের ধনের মতো ক্ষমতাকে আগলে রেখেছে তাতে যেকোনো মুহূর্তে তাদের ‘প্যারাডাইস লষ্ট’ হতে পারে। স্বর্গ থেকে বিদায় হতে বেশী সময় লাগে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চোধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।