সিরাজুল আলম টিপু :: চট্টগ্রামে এক আইনজীবীকে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর পর ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বোয়ালখালী থানার সাবেক ওসি হিমাংশু দাশসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন, বোয়ালখালী থানার সাবেক ওসি হিমাংশু কুমার দাস, বর্তমান সিএসআই মো. আতিক উল্যা, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই মো. আরিফুর রহমান, সাবেক ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম আখন্দ, সাবেক এসআই মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, এসআই রিপন চাকমা, এএসআই আলাউদ্দীন, এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাস, সঞ্জয় দাসের কেয়ারটেকার সজল দাশ গুপ্ত ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার দিদারুল আলম। ভুক্তভোগী ওই আইনজীবী সমরকৃষ্ণ চৌধুরী (৬৫) গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জুয়েল দাশ জানান, ভুক্তভোগী সমর চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরে থাকলেও তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে। ওই গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার কাকা স্বপন দাশের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। স্বপন দাশকে আইনগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন সমর চৌধুরী। ওই ঘটনার জেরে ‘সঞ্জয় দাশের প্ররোচনায়’ চট্টগ্রাম রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মনির-উজ-জামানের ‘নির্দেশে’ আইনজীবী সমর চৌধুরীকে বোয়ালখালী থানার সাবেক ওসি হিমাংশু দাশ ২০১৮ সালের ২৭ মে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলার আসামি দেখিয়ে আটক করেন এবং ২৭ মে রাত ১টার পর থানাহাজত থেকে বের করে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যাচেষ্টা করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে সমর চৌধুরীকে ইয়াবা আটকের মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এই অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রশ্ন তুলে আসছে।