প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের পেছনেই রয়েছে অধিকার হারানোর বেদনা। আর অধিকার হারানোর ওই বেদনা থেকেই অধিকার প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী আপনারা দেখেছেন স্বাধীনতার মূল যে স্পিরিট সেই গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে। সব দল বন্ধ করে, সব গণমাধ্যম বন্ধ করে। রোববার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের পক্ষ থেকে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্রের মুক্ত ধারা বইয়ে দিয়েছে। বাকশাল থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের কণ্ঠের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তারই সহধর্মিণী, বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে।বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে কারণ তাকে বন্দি না করলে দিনের ভোট রাতে করা যেতো না। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়া তন্ত্র, কেসিনোতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেতো না। সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেই আজ তিন বছর বেগম খালেদা জিয়া বন্দি।
রিজভী আরো বলেন, বায়ান্নর যে রক্তস্নাত চেতনা, সেদিনের যে আত্মত্যাগ সেটা আসলে ছিলো অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। সেটা আজও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের সাহসী করে। আজও আমাদের যে অধিকার হারানো, গণতন্ত্র হারানো, কথা বলার স্বাধীনতা হারানো সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য জোটবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম করছি, কথা বলছি, আমরা মামালা, হামলা, গ্রেপ্তার, গুম ও খুনকে বরণ করে নিয়েও আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বায়ান্নর চেতনা আমাদের চেতনাকে শানিত করেছে, ধারালো করেছে বলেই আজও আমরা দৈত্যের ন্যায় একটা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপিসহ বিরোধী দল বিরোধীমত এক কাতারে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছি। এই চেতনার উৎসভূমি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন।