spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

কড়াইল বস্তিতে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত এক

spot_img

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলআমিন (৩৪) নামে এক মুদি দোকানদার খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।

- Advertisement -

তবে পুলিশ বলছে কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কড়াইল নূরানী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আলামিনকে সাড়ে ৯টায় মৃত ঘোষণা করেন।

আহতরা হলেন- আমজাদ হোসেন (৩৫), মাসুদ আলম (১৮), নুর আলম (৩০), জলি (৪০) ও সেন্টু (৪০)।

নিহত আলআমিনের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত মুসলিম উদ্দিন।

আলআমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পরিচিত মো. কায়েস মিয়া জানান, বস্তিতে মুদি দোকান রয়েছে আলআমিনের। এশার নামাজ পড়তে নূরানী মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কে বা কারা তাকেসহ আরও কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। খবর পেয়ে আলআমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত মাসুদ আলম জানান, তিনি গুলশানের ন্যাশনাল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথমবর্ষে পড়েন। থাকেন কড়াইলে। সপ্তাহখানেক আগে এলাকার ছোট ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই ঘটনা নিয়েই ওই ছেলেদের মধ্যে আরও কয়েক দফায় মারামারি হয়। মাসুদ আজ বুধবার বিকেলে তাদের ডেকে মীমাংসা করে দেন। এরপর নূরানী মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গেলে সেখানে এলাকারই যুবায়ের, নাসির, আলআমিন-২, রিপন, জুয়েল, ফয়েজ, কামালসহ ১০-১২ জন এসে প্রথমে মাসুদকে আঘাত করতে থাকে। পরে অন্যদের ওপরও হামলা চালায়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া আলআমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া জানান, কড়াইল বস্তি এলাকায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনতে পেরেছি। এ ঘটনায় একজন মারা গেছে কয়েকজন আহত আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে অবস্থান করছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ