তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ, পাকিস্তানই ভালো ছিল’ স্লোগান দেয়, সেই বিএনপির হাতে কখনো দেশ নিরাপদ নয়। তারা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, পাকিস্তান বানাতে চায়।
ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে গ্রামগুলোতে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে। আমরা স্লোগান দিই ‘আমার গ্রাম আমার শহর, ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আর বিএনপি স্লোগান দেয় ‘আর নয় ডিজিটাল দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে পেছনে পাঠাও। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলে- এই স্লোগান আমাদের তারেক ভাইজান দিছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেবও বলেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল।
নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বিএনপি এখান থেকে বাংলাদেশকে কয়েক দশক পেছনে নিয়ে যেতে চায়। যে পাকিস্তান বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তারা দেশটাকে সেই পাকিস্তান বানাতে চায়। যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, পাকিস্তানই ভালো ছিল বলে, তাদের হাতে আমরা দেশ তুলে দিতে পারি না। যারা বাংলা ভাইয়ের জন্ম দিয়েছিল, যারা নাটোরে মমতাজ ভাইকে হত্যা করেছিল, আবার সেই জনপদে আমরা ফেরত যেতে পারি না।
মির্জা ফখরুল সাহেব ক’দিন আগে তাদের মনের কথা বলেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তারা নাকি তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন করবে। অর্থাৎ সব ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাঁদা আর টোল তোলার হাওয়া ভবনের তারেক রহমানকে নাকি নেতৃত্বে আনবে। তার মানে আগে পাঁচশ জায়গায় বোমা ফেটেছে, এবার পাঁচ হাজার জায়গায় বোমা ফুটবে। আবার বাংলা ভাই হবে, মানুষকে টাঙিয়ে রেখে মারতে মারতে হত্যা করবে, আবার ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হবে। তারেক জিয়াকে আনলে এগুলো হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান প্রধান বক্তা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন সম্মানিত অতিথি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মো. শহিদুল ইসলাম বকুল, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানকে সভাপতি এবং আব্দুল মতিনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়।