চীনের তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২০,চাপা পড়া জীবিতদের নিয়ে উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ১২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় চাপা পড়াদের জীবিত থাকা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

- Advertisement -

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিমালয়ের পাদদেশে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে আটকে পড়া ৪০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেঁচে থাকাদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো বিরতিহীন অভিযান চলছে।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি ঘটে, যা বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েকটি এলাকা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, যা উদ্ধার কাজকে ব্যাহত করছে।

পরিস্থিতির বিবরণ
ভূমিকম্পটি মূলত লুডিং কাউন্টির কাছে কেন্দ্রীভূত ছিল, যা একাধিক শহর ও গ্রামে প্রবল ক্ষতির সৃষ্টি করেছে। দেশটির জরুরি পরিষেবাগুলি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

উদ্ধার কার্যক্রম
উদ্ধারকর্মীরা অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। ভেঙে পড়া ভবনগুলোর নিচে জীবিতদের খোঁজ করতে বিশেষ ড্রোন ও স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে অনেক দেশ চীনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে এবং সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।

চীনের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সিচুয়ান প্রদেশ অতীতে বহুবার এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। ২০০৮ সালের একটি ভূমিকম্পে একই অঞ্চলে ৭০,০০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

বর্তমানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে জীবিতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহ শনাক্ত করার চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

সর্বশেষ