সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এম এম শওকত আলী মারা গেছেন; তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ছেলে ফারাহাত শওকত।শওকত বলেন, বছর দুয়েক আগে শওকত আলী স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে তিনি শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বাদ আছর গুলশান সোসাইটি মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
শওকত আলী ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
শওকত আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর পর ১৯৬৪ সালে কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন। পরের বছর যোগ দেন অধ্যাপনায়। এরপর ১৯৬৬ সালে তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তানে যোগ দিয়ে সরকারি বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন।
২০০১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে শওকত অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি গবেষক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। কৃষি, খাদ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সুশাসন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত নিয়মিত কলাম লিখতেন পত্রিকায়।
তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ফিল্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (১৯৮২),পলিটিক্স অ্যান্ড ল্যান্ড সিস্টেমস ইন বাংলাদেশ (১৯৮৪), পলিটিক্স, উপজেলা অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (১৯৮৬), অ্যাগ্রিকালচারাল ক্রেডিট ইন বাংলাদেশ (১৯৯০), অ্যাসপেক্টস্ অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ (১৯৯৩), কমপ্রিহেনসিভ বিবলোগ্রাফি অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (১৯৯৪), দ্য লোর অব দ্য ম্যান্ডারিনস: টুয়ার্ডস এ নন পার্টিজান পাবলিক সার্ভিস (২০০২) এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস: এ পলিটিক্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পারসপেকটিভ (২০০৪), জেলা প্রশাসনের পরিবর্তনশীল দৃশ্যপট (২০১৮), বাংলাদেশের সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ (২০১৯)। এসব বই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্বাচিত গ্রন্থপঞ্জির তালিকাভুক্ত।