সাগর–রুনি হত্যা মামলা নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের বরাতে খবর দিয়েছে দেশের একাধিক ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও জাতীয় দৈনিক।

- Advertisement -

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ তথ্য সঠিক হয়। ডিএমপি বলেছেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনী হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়।’

এদিকে আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আরও ছয় মাস পেয়েছে টাস্কফোর্স। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদ রাজির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

এর আগে হাইকোর্ট গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে র‍্যাবের কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র‍্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৯ বছরেরও বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোনো সংস্থা। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনের কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।

সরকার পরিবর্তনের পর তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেন। তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের পরে সংশ্লিষ্ট অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।

সর্বশেষ