ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ছক তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে ভোটাধিকার, ন্যায় বিচার, বাক-স্বাধীনতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের বাহন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কাছে নির্বাচন ভীতির ব্যাপার। তাই তারা আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের ছক করছে। কিভাবে এক তরফা নির্বাচন করে বৈতরণী পার হওয়া যায় সেই ছক করছে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইলেও জনগণ ভোট দেয়া নিয়ে শংকিত। কারণ দেশে সুশাসনের কোন নমুনাই নেই।
তবে জনগণ এখন অনেক সচেতন। তারা নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে যখন তত্বাবধায়ক সরকার চাইলো, তখন সেটা সংবিধানে ছিল না। সংবিধান পবিত্র কোরআন নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। বাকশাল যখন হয়, তখন ৫ মিনিটে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। সংবিধান জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতীক। আর তারা এখন বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না। মন্ত্রী ও এমপি থেকে নির্বাচন করবেন, এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো?
তিনি বলেন, এই সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতেও কাজে লাগায়। আর নির্বাচনের আগে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামাতে চায় না। তাদের নামাতে এত ভয় কেন? ভোট চুরি করতে পারবে না বলেই এত ভয়। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে রাজপথে তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই মুক্তি মিলবে। গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে। তাই রাজপথ দখল ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
ক্ষমতাসীন দলের প্রতি সংলাপের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন দেশকে ভালোবাসে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করি। সুষ্ঠু নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জেতে তাহলে বিএনপির কোন আপত্তি নেই। সেটা মেনে নিয়ে বিএনপি বিরোধী দলে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আজ একটি মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে এই কারাগারে যেতে হবে শেখ হাসিনাকে। এজন্য রাজপথে ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. মোবায়দুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।