ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো সংলাপ ফলপ্রসু হবে না। তিনি বলেন, এতে সংলাপের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর প্রতিবাদ এবং তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবিতে এ আয়োজিত মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচীর আয়োজন করে বিএনপি।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে এবং আসন্ন নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। জামিন পেলেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আজকে এটা থেকেই প্রমানিত হয়, একদিকে সরকার সংলাপের আমন্ত্রন পাঠিয়েছে, অন্যদিকে দেশনেত্রীর সাজা বৃদ্ধি করেছে। এই দুটো সাংঘার্ষিক। এটা কখনোই গণতান্ত্রিক কোনো আচরনের প্রতিফলন ঘটায় না। এতে সংলাপের যে আন্তরিকতা সে আন্তরিকতা প্রমান করে না।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই বয়সে অসুস্থ অবস্থায় কারাবরণ করছেন শুধু গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে করেছি এই গণতন্ত্রের জন্য। আজকে এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা আত্মাহুতি দিয়েছে তাদের রক্তের বিনিময়ে ও দেশনেত্রীকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো সংলাপ বা নির্বাচন ফলপ্রসু হবে না।
সরকারকে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন। নির্বাচন দিচ্ছেন, কিন্তু সেই নির্বাচনে একতরফাভাবে, হেলিকপ্টারে করে জনগণের কাছে যাচ্ছেন, আর আমাদের নেত্রী কারাগারে, আমরা পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আমাদের কর্মীরা দাড়াতে পাড়ছে না। এই অবস্থায় কখনা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হতে পারে না।’
সেইজন্য আমাদের সাত দফা দাবি পুরোটাই মেনে নিতে হবে। সবার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করে অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের চাহিদা পুরন করতে হবে। ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। সর্বপ্রথম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তার মুক্তি না হলে কোনো নির্বাচন অর্থবহ হবে না।
মানববন্ধনে আরও উপস্তিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আলতাফ হোসেন চৌধুলী, রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।