ট্রাফিক পুলিশদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

চট্টগ্রামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই মীর নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।এসব কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রমাণ এসেছে দুদকের হাতে। নজরদারিতেও রয়েছে আরো কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য।

- Advertisement -

চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে তালিকা করে মাঠে নেমেছে দুদক। এ তালিকায় নাম রয়েছেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই মীর নজরুল ইসলাম, নগর পুলিশের ট্রাফিক শাখার পরিদর্শক আবুল কাশেম। বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ই নভেম্বর তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা করা হয় কাশেমকে।

এছাড়া টিআই শাহাদত, সদ্য প্রত্যাহার হওয়া টিআই লোবেল, আকবরশাহ’র টিআই জসিমউদ্দিন সহ বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে। এসব কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের সম্পদের বৈধ উৎস জানতে সম্পদ বিবরণী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জমা দিতে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক।

চট্টগ্রাম দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় উপ পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন জানান, ‘বেশ কয়েকজনের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, সেগুলো আমরা যাচাই বাছাই করছি। সেই সঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে সেগুলোও আমরা দেখছি। আরও যারা জড়িত আছে তাদেরকেও যখন আমরা বের করতে পারবো, তখন পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা জানাবো।’

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় ৬ থেকে ৭ বছর ধরে চলছে ট্রাফিক পুলিশের মাসিক স্লিপ বাণিজ্য। ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি মালিকদের কাছে বিশেষ এই স্লিপ বিক্রি করে প্রতিমাসে একটি সিন্ডিকেটর আয় হতো প্রায় ৫ কোটি টাকা।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও আকবরশাহ’র টিআই জসিমউদ্দিন, বন্দরের প্রসিকিউশন শাখায় সার্জেন্ট আশিকুজ্জামান আছেন বহাল তবিয়তে।

সিএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম জানান, ‘বিষয়টি চেক অ্যান্ড ভেরিফাই করা হচ্ছে। যদি এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক বিভাগের সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে মাসিক স্লিপ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও নানা অনিয়ম করে আসলেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা।

সর্বশেষ