বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ ভেঙ্গে হবে। ভোটের প্রস্তুতির পাশাপাশি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে বলেও জানাচ্ছেন দলটির নেতারা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তিনি এসব কথা বলেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপি। তবে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপে রাখার কৌশলও ঠিক করছে বিএনপি। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা বা কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও ভোটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। চেয়ারপারসনের সে বার্তা নিয়েই গুলশান কার্যালয়ে চার ঘণ্টার বৈঠক করেছে নীতিনির্ধারকেরা। এতে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও।
খালদা জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় নির্বাচনে গেলে ভোটের লড়াইয়ে বিএনপি জনগণের সহানুভূতি পাবে বলেও মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। যেকোনো পরিস্থিতিতে ভোটে যাচ্ছে বিএনপি।
গতকাল রোববার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন নেতা। আলোচনায় যে কোনও মূল্যে নির্বাচনে যেতে প্রস্তুতির নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে এবং সংসদ ভেঙ্গে হবে। তার আগে বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই মুক্ত হবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের মৌলিক দাবি দলীয় সরকার নয়। নির্বাচনকালীন সময়ে দলীয় সরকার অনুপস্থিত থাকবে। আর পালার্মেন্ট বিলুপ্ত থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, চেষ্টা করা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি আদায় এবং আন্দোলন করার। আগামী নির্বাচনের আগে নিজেদের যে সম্ভাব্য দাবি আদায় না হয় তাহলে অবশ্যই বিকল্প কিছু চিন্তা করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের মনোনয়ন বা প্রার্থী এগুলোর কোনো সমস্যা নয়। সমস্যাটি হচ্ছে নির্বাচনটি কি জনগণের পক্ষে যাবে নাকি ক্ষমতাসীনদের দখলে যাবে।
খালদা জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় নির্বাচনে গেলে ভোটের লড়াইয়ে বিএনপি জনগণের সহানুভূতি পাবে বলেও মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা।