মার্কিন ফর্বস ম্যাগাজিন ২০১৮ সালে বিশ্বের ৭৫ জন ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং কে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ফর্বসের তালিকায় টানা চার বার স্থান পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি পুতিনকে টপকে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে ক্ষমতাধর হলেন শি জিন পিং।
২০১৮ সালের জরিপে দ্বিতীয়তে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তৃতীয়তে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর চতুর্থে রয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা ম্যার্কেল। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত এ তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক আলোচিত দুই র্শীর্ষ নেতা সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী হুসাইনি খামেনিও রয়েছেন। ২০১৬ সালের ফর্বসের তালিকায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ স্থান পেয়েছিলেন। এবার এ স্থান দখল করলেন তারই ছেলে মুহাম্মদ বিন সালমান।
বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৭৪০ কোটি। কিন্তু এই ৭৫ জন ব্যক্তি ক্ষমতার বিচারে বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী। তাদের কথা, তাদের কাজ, তাদের বিত্ত দিয়ে তারা গোটা বিশ্বে ক্ষমতার জায়গা করে নিয়েছেন। ফর্বস বলছে এই তালিকা তৈরির জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েকশ ব্যক্তির নাম বিবেচনায় নিয়েছিল এবং চারটি বিষয়ে এদের যোগ্যতা বিচার করে তালিকায় এদের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম তারা দেখেছেন বিশ্বের কত মানুষের ওপর তাদের ক্ষমতা বিস্তৃত। যেমন পোপ ফ্রান্সিস, এই তালিকায় যিনি ছয় নম্বরে স্থান পেয়েছেন, তিনি বিশ্বের একশ কোটির বেশি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর আধ্যাত্মিক নেতা। অথবা ২৩ নম্বরে থাকা ডাগ ম্যাকমিলান যিনি ওয়ালমার্ট নামে বিপনীকেন্দ্রের মূল নির্বাহী কর্মকর্তা সেই প্রতিষ্ঠানে তার অধীনে বিশ্বব্যাপী কর্মীর সংখ্যা ২৩ লক্ষ, অর্থাৎ ক্ষমতার দিক দিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ২৩ লক্ষ মানুষকে।
এরপর দেখা হয় এদের বিত্ত বা অর্থসম্পদের ক্ষমতা। সেই বিচারে তাদের অবস্থান। এখানে ব্যক্তিগত অর্থসম্পদ ছাড়াও তাদের অন্যান্য মূল্যবান সম্পদও হিসাবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরপর বিচার করা হয় একাধিক ক্ষেত্রে এরা কতটা ক্ষমতাশালী। যেমন কেউ হয়ত একাই মোটরগাড়ি, বিমান এবং প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে ক্ষমতাধর। একাধিক ক্ষেত্রে ক্ষমতাবানদের স্কোর এতে অনেক উঁচুতে উঠেছে।
সবশেষ ফর্বস দেখেছে এইসব ব্যক্তি তাদের ক্ষমতা কতটা কার্যকর ভাবে ব্যবহার করতে পেরেছেন। যেমন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিং জন উন তার দেশের ২৫ কোটি মানুষের উপর তার ক্ষমতা ব্যবহার করেন। ফর্বসের সম্পাদকদের একটি প্যানেল এই চারটি দিক বিবেচনা করে তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছেন। সূত্র: ফর্বস ম্যাগাজিন ও ডেইলি উর্দু নিউজ