spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

আবরার হত্যার বিচারসহ ৭ দফা দাবিতে উত্তাল বুয়েট

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার ও অবিলম্বে শাস্তি দেয়াসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তারা মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে তারা জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগিংয়ের নামে ও ভিন্নমত থামানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, আগের ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে, আবরার ফাহাদের মামলার খরচ এবং তার পরিবারকে ব্যয় চালানোর মতো খরচ দিতে হবে, ভিসিকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহিতা করতে হবে এবং শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সাত দফা দাবির কথা জানিয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে শেরে বাংলা হলের ভেতরে প্রদক্ষিণ করে আহসান উল্লাহ হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনের চত্বর ঘুরে ফের শহীদ মিনারে আসে। সেখানে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, বুয়েট ভিসি মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহিতা না করা পর্যন্ত তারা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিও জানান।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছেন। বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে ছাত্র শিবিরের সাথে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে আবরারকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় সিটিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা নিয়ে পুলিশ সোমবার ছাত্রলীগের নয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। অন্যদিকে, আবরারের বাবা চকবাজার থানায় ছাত্রলীগের ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ