বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কৃষক যখন তাদের উৎপদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না, দেশের মানুষের যখন মৌলিক অধিকার নেই, অর্থনীতি যখন স্থবির তখন তখন সরকার স্যাটেলাইট ওড়াচ্ছে।
আর এই স্যাটেলাইট মালিকানা দুই ব্যক্তির হাতে চলে গেছে। সরকার স্যাটেলাইট নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই এদেশে অর্থনৈতিক উন্নতির সূচনা হয়েছে। খালেদা জিয়ার আমলেই এদেশ মধ্য আয়ের পথে হাঁটে। ব্যাংক ব্যবস্থা উন্নত হয়। অথচ আজ মহাকাশে স্যাটেলাইটসহ সবকিছু নাকি তারাই (আওয়ামী লীগ) করেছে। সবকিছু নাকি তাদেরই অবদান।
শনিবার (১২মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কতৃক আয়োজিত গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্টা,খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে প্রতিবাদ সবায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, মহাকাশে স্যালেটলাইট। অথচ দেশে মানুষ মৌলিক অধিকার পাচ্ছে না। এই যে স্যাটেলাইট তার মালিকানাও চলে গেছে দুজনের হাতে। বিএনপি ২০৩০ ভিশনে অঙ্গীকার করেছে দেশের অগ্রগতির জন্য সবকিছুই করবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করুন। তাহলেই দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে। আমাদের হাত পা খুলে দিন। তারপরই আমরা নির্বাচন করবো। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তিনি দেশের সবচেয়ে ত্যাগী নেত্রী। তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে পারে না।
খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে ফখরুল বলেন, গতকাল বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতির ৩৪ বছর পূর্ণ হয়েছে। অথচ এসময় তিনি কারাগারে! তার মতো এরকম ত্যাগী রাজনীতিবিদ আর নেই। তিনি স্বামী, বাস্তভিটা, সন্তান সবই হারিয়েছেন। তারপরও তিনি মানুষের অধিকার আদায়ে এই ৭৩ বছর বয়সে কারাগারে বন্দি।
ফখরুল এসময় মালয়েশিয়ার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান। বলেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। গোটা মানুষকে এক করতে হবে। ধর্ম বর্ণ সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই ভয়াবহ দানবকে সরাতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ও ডা. শামীউল আলম সুহান এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করে ড্যাব।