প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গেট বন্ধ করে ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ঘটনায় আহত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেলের মাথার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের অস্ত্রোপচার কক্ষে তাকে নেয়া হয়।এর আগে বিকালে সুহেলের একটি সিটিস্ক্যান করা হয়। রিপোর্ট দেখে রাতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুর রহিম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সুহেলের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন সে ভালো আছে। তাকে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে ভিপি নুরসহ আহতদের অবস্থা জানাতে এক ব্রিফিংয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আহত ভিপি নুরসহ চারজনের অবস্থা ভালোর দিকে। তবে সুহেল এখনও শঙ্কামুক্ত নন।
৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক জানান, সুহেলের মাথায় ফ্র্যাকচার, কোমরে ব্যথা এবং চোখ এখনও ফোলা আছে। এসব কারণে এখনও তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
ভিপি নুরের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘নুর কথা বলছেন এবং হাঁটছেন। তার হাতের ও কাঁধের এক্সরে করা হবে আজ। তিনি আশঙ্কামুক্ত।’শিগগিরই ভিপি নুরসহ অন্যদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান নাসির উদ্দিন।
উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।
এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।
এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।