প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা এখন চট্টগ্রাম। অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় উন্মুক্ত থাকা তার প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, ঈদের ছুটি শেষে মানুষ নগরে ফিরতে শুরু করায় এ পরিস্থিতির এখন আরও মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে।
শনিবার একদিনে চট্টগ্রামে ২৭৯ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এতে চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৬৭ জনে। যেখানে দেশের ২য় সর্বোচ্চ থাকা নারায়ণগঞ্জের মোট করোনা আক্রান্ত ছিল ২৫৩২ জনের বেশি। এ হিসাবে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় এখন চট্টগ্রাম ।
শনিবার (৩০ মে) চট্টগ্রামে ১২১৯টি নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৭৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের প্রায় একমাস পরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চট্টগ্রামে। কিন্তু সংক্রমণ শুরুর প্রথম মাসে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দ্বিতীয় মাসে চট্টগ্রামে করোনার বিস্ফোরণ ঘটে।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানাগুলো চালুর সঙ্গে সঙ্গে নগরের অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। এর পরে ধারণার চেয়ে দ্রুত গতিতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
শনিবার মধ্যরাতে প্রকাশিত রিপোর্টে জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে তিনদিনের (২৪-২৬ মে) জমে থাকা ৮১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ঢাকার আইইডিসিআর। এতে ১১৬ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৬৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৪ জন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২১৭ জন।