spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

কার দোষে জয় বঞ্চিত আর্জেন্টিনা?

spot_img

 

- Advertisement -

নবাগত আইসল্যান্ড বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যচেই রুখে দিল আর্জেন্টিনাকে। উপর্যপুরি আক্রমণ করেও শেষ পর্যন্ত গোল আদায় করতে পারেনি মেসি এন্ড কোং। ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সাম্পাওলির শীষ্যদের। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপে আসা দলের জন্য নবাগত দলের সাথে ড্র তো হারের সমতুল্যই!

আর্জেন্টিনার দলের প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি এই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এটা ঠিক যে, আইসল্যান্ড কড়া পাহাড়ায় রেখেছে মেসিকে। তবে সেটি তো মেসির মতো খেলোয়াড়দের বেলায় হয়েই থাকে। তবুও সেরারা তাদের দক্ষতা দিয়ে দলকে ঠিকই জয় এনে দেন। গত রাতেই তার নজির দেখিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্লাব পর্যায়ে যার সাথে মেসির চলছে দীর্ঘ দশ বছরের লড়াই।

কিন্তু আজকের ম্যাচে মেসির পা থেকে তেমন কিছুই আসেনি। একটি গোলের জন্য আর্জেন্টাইনরা যখন মরিয়া, দর্শকরা তখন তাকিয়ে মেসির দিকে। কিন্তু মেসির কাছ থেকে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। উল্টো মিস করেছেন পেনাল্টি। পেনাল্টিতে এমন শট নিয়েছেন যা ডান দিকে ঝুঁকে সহজেই ঠেকিয়ে দিয়েছেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক। পেনাল্টি মিসের ভূত মেসির জন্য নতুন নয়। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকা কাপের ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধেও পেনাল্টি মিস করেছেন মেসি। ক্লাব পর্যায়ে মেসির পেনাল্টি মিসের রেকর্ড শতকরা ২৪ ভাগ।

আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে মেসি বেশ কয়েকবার ভালো বল নিয়ে গোলপোস্টের দিকে অগ্রসর হলেও জোরালো কোন শট নিতে পারেননি পোস্টে। গোলরক্ষকে পরীক্ষায় ফেলার মতো কোন শট আসেনি মেসির পা থেকে। ১৭ ও ২১ মিনিটে তার দুটি সহজ শট লুফে নিয়েছেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হ্যালডারসন। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মেসির শট গেছে পোস্টের অন্তত দশ ফুট ওপর দিয়ে।

বিপজ্জনক জায়গা থেকে এদিন তিনটি ফ্রি-কিক নিয়েছেন মেসি। এর কোনটি গেছে বারের ওপর দিয়ে, কোনটি বাধা পেয়েছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের তৈরি দেয়ালে। অথচ আগের রাতেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদে স্পেনের ছয়জনের দেয়াল টপকে দারুণ এক গোল করেছেন। মেসিও জীবনে এমন ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছেন গণ্ডায় গণ্ডায়; কিন্তু এই ম্যাচে যেন কী ভর করেছিলো তার ওপর। যার ফলে দলকে হারাতে হয়েছে পয়েন্ট।

তবে আক্রমণভাগের অন্যরা খেলেছেন নিজেদের যথেষ্ট দক্ষতার সাথেই। শেষ আধা ঘণ্টায় আইসল্যান্ডকে পাগল করে রেখেছে আর্জেন্টিনা। এত এত আক্রমণ ঠেকাতে নয়জন ডিফেন্সে খেলেছে আইসল্যান্ডের। তাদের এই মানবপ্রাচীরের কারণেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে মেসিরা।

এই ম্যাচে আর্জেন্টাইন ডিফেন্স ছিলো ছন্নছাড়া। বেশ কয়েকটি জোরালো আক্রমণ করেছে আইসল্যান্ড, কয়েকবার তো তারা প্রায় গোল করেই ফেলেছিলো। এর কোনটি কাজে লাগলে আর পরাজয়ের দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো আর্জেন্টাইনদের।

কঠিন গ্রুপে আর্জেন্টিনার পরের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। পরের দুই ম্যাচে তাই আরো কঠিন পরীক্ষায়ই পড়তে হতে পারে মেসিদের।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ