spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

বাড়ছে যমুনার পানি, চরাঞ্চলে আতঙ্ক

spot_img

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলেছে। টানা আট দিন ধরে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

- Advertisement -

আবারও প্লাবিত হতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চল। এতে করে চরাঞ্চলবাসী তৃতীয় দফায় বন্যার আশঙ্কা করছেন।

শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৫ মিটার। যা বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা- ১৩.৩৫ মিটার)। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৩২ সে. মি.। অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৩২ মিটার। এ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৫.২৫ মিটার)।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকেই যমুনায় পানি বাড়ছে। প্রথম দিকে বেশি বাড়লেও মাঝখানে পানি বৃদ্ধির হার অনেকটা কম ছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও পানি বৃদ্ধির হারটা অনেক বেশি। আসলে উজানের বৃষ্টির উপরই যমুনায় পানি বাড়া বা কমা নির্ভর করে। পানি আরও তিন চারদিন বাড়লেও হয়তো বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চরের নিচু জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ এলাকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু আবাদী জমিগুলো তলিয়ে যাওয়ার ফলে সেটা ভেস্তে গেছে।

এর আগে গত জুন মাসের শুরু থেকে প্রথম দফায় যমুনায় পানি বাড়তে থাকে। গত ১৮ জুন জেলার সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। পরে ২৩ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করেছিল। দ্বিতীয় দফায় ২৯ জুন থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। এরপর ৩ জুলাই থেকে পানি কমতে থাকে। এর পরে আবার তৃতীয় দফাতে ২৩ জুলাই বৃদ্ধি ও ৬ আগস্ট থেকে কমা শুরু হয়। টানা ২৫ দিন পর ৩১ আগস্ট হঠাৎ করেই যমুনার পানি বাড়া শুরু হয়।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ