spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ড. আকবর আলি খান

spot_img

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত অংশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।

- Advertisement -

শুক্রবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গুলশান-১ আজাদ মসজিদে জুমার নামাজের পর তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

জানাজায় অংশ নেন জানাজায় অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান প্রমুখ।

সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে আকবর আলী খানের মরদেহ রাজধানীর গুলশানে তার বাসায় নেয়া হয়। সেখানে স্বজন ও বিশিষ্টজনেরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গুলশানে আকবর আলী খানের বাসায় গিয়েছেন সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মৃত্যুবরণ করেন আকবর আলি খান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।

১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন আকবর আলি খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

সরকারি চাকরি দিয়ে তার পেশাজীবন শুরু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আকবর আলি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক বা এসডিও ছিলেন। সেসময় সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করায় তার বিচার করে পাকিস্তান সামরিক সরকার। তারই অনুপস্থিতিতে দেওয়া হয় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।

স্বাধীনতার পর আবার আমলা হিসেবে পেশাজীবনে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আকবর আলি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও করেছেন তিনি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ