বিএনপির মূল দাবি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ও সুষ্ঠু নির্বাচন : খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এখন আমাদের মূল দাবি- সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল করা। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে মুক্তভাবে রাজনীতি করতে দেয়ার পরিবেশ তৈরি করা।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রসমাজকে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমান সরকারকে সরাতে হলে ছাত্রদলকে সামনের কাতারে থেকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যেখানে ব্যর্থ, জিয়াউর রহমান সেখানে সফল। ৭ নভেম্বরকে বর্তমান সরকার বিতর্কিত করছে। অথচ সেই দিনটি বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। আসলে তারা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছে বারবার। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। চাপাবাজি দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা আইএমএফ’র প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। তাদের লুটপাটের কারণে দেশে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। আজকে নতুনভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। লোডশেডিং বেড়েছে। জ্বালানি ও নিত্যপণ্যেও মূল্যবৃদ্ধি ও সরকারের অপশাসনের জনগণ আজ অতিষ্ঠ। তারা আজ এই সরকারের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে আমাদের সমাবেশগুলোতে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির গণসমাবেশে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ কোনো বাধা-বিপত্তিতে ভয় পায় না। তারা স্বতস্ফূর্তভাবে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশও সফল হবে।

পূর্বঘোষিত এ সমাবেশ দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন।

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহামান খোকন, ছাত্রদলের সিনিয়র সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমুখ।

সর্বশেষ