কোটা সংস্কার আন্দোলনকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, পুলিশি হয়রানি স্বার্থজড়িতদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে আত্ম-সুবিধার সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধ করেছি বলে সারাজীবন হালুয়া-রুটি খাইতে থাকব, এটা কেমন কথা? এমন প্রশ্ন রেখেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কোটা সুবিধা পেতে পারেন আহত, প্রতিবন্ধীদের পরিবার, তাদের ছেলেমেয়েরা বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তবে কোটা থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারণ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলে যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তারা সফল হবে। একটি সুন্দর দেশ হলে আমাদের সবারই মঙ্গল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনুন্নত, পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী রয়েছে তাদের জন্য দুই শতাংশ কোটা থাকতে পারে। আমাদের আহত, প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধারা রয়েছেন তাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে কোনোক্রমেই ২০ শতাংশের উপরে কোটা থাকতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কার করার দাবিতে সরকার কাউকে মিটিং-মিছিল করতে দেবে না, বক্তব্য রাখতে দেবে না এটা কেমন কথা। এটা কি তাহলে পুলিশি রাষ্ট্র? আমার মনে হয়, এর পেছনে ভারতীয়দের মদদ আছে। গত বছর ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। আমাদের দেশে যদি অন্যায়-অবিচার, ঝামেলা চলতে থাকে তাহলে তাদের লুটপাট করতে সুবিধা হবে। একইসঙ্গে ভারত সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই যে, সরকারের সুমতি হোক। কোটা সংস্কারের আন্দোলনের বিষয়ে সরকার খুব ভুল কাজ করছে। কাউকে কথা বলতে না দেওয়া খুব অন্যায়, অযৌক্তিক ও ভুল কাজ।