ক্যাডার খোকনের হাতে সাংবাদিক মুক্তার লাঞ্ছিত

মো.রাশেদ:: দৈনিক নয়া শতাব্দীর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এবং চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মো. মুক্তার হোসেন বাবুকে লাঞ্চিত করার জেরে মো. খোকন নামে জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিএমপির হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৯৮২)) করা হয়েছে।

- Advertisement -

১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার রাতে হালিশহর থানায় এই জিডি করেন তিনি। এর আগে রাত ৮টার দিকে নগরীর নয়াবাজার মোড়স্থ তায়েফ রেস্তোরার সামনের রাস্তায় গাড়ি পার্ক নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সাংবাদিক মো. মুক্তার হোসেন বাবুকে লাঞ্চিত করেন ওই যুবক।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নগরীর হলিশহর নয়াবাজার তায়েফ রেঁস্তোরার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সাংবাদিক মুক্তার হোসেন বাবু অফিস সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলম সেজান, সাইফুল ইসলামসহ চা পানরত অবস্থায় কথা বলছিলেন। এ সময় খোকন এসে জানতে চায়, রাস্তায় পার্ক করা গাড়িটি কার। জবাবে মুক্তার হোসেন বাবু তাকে জানান, গাড়িটি তার। এসময় ক্যাডার খোকন উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, গাড়ি এখানে কেনো রাখা হয়েছে? মুক্তার বলেন, রাস্তার পাশে খালি জায়গা ছিল তাই গাড়িটি রেখেছি।

এই কথা নিয়ে রাত ৮টার সময় খোকন এবং তার সঙ্গে থাকা দুই-তিনজন সাঙ্গোপাঙ্গ সাংবাদিক মুক্তারের ওপর চড়াও হয়ে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে লাঞ্ছিত করেন। এসময় খোকনকে মুক্তার হোসেন সংযত হয়ে কথা বলতে বললে, খোকনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তাকে মারার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসেন। তখন তিনি মান-সম্মানের কথা ভেবে খোকনের সঙ্গে তর্কে না জড়িয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। এ সময় খোকন তার প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জিডিতে অভিযোগ করেন মোক্তার হোসেন।

জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থলে অনেকেই তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও খোকন তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মুক্তারের পরনে থাকা টি-শার্ট ধরে টানাটানি করতে থাকেন। মুক্তার হোসেনকে ‘জানে মেরে ফেলবো’ বলেও হুমকি দিতে থাকেন। খোকন এসময় চিৎকার করে আরও বলেন, ‘তোর মতো সাংবাদিককে উলঙ্গ করে পেটালেও থানা-পুলিশ করে কোনো লাভ নেই। এগুলো আমার কথায় ওঠে আর বসে।’

এসময় নগরীর নয়াবাজার থেকে সাংবাদিক মুক্তার হোসেন পুলিশ সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে কথা বললে হালিশহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ক্যাডার খোকনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেখে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিডি তদন্তকারি কর্মকর্তা হালিশহর থানার এএসআই মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বলেন, সম্ভবত ভুলবুঝাবুঝির কারণে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোকনের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ