জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দলটি যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তবে তারা ধর্ম ও দলের ভেদাভেদ না করে সেবক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমরা মালিক নয়, জাতির খাদেম হবো। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে কোন দলের ও ধর্মের, আমরা তা দেখব না। আমরা দেখব সে বাংলাদেশি কি না।”
কুয়েত সফরের শেষ দিনে, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব, তারা তাদের দেশকে যেমন পছন্দ করে, তেমনি আমাদেরও আমাদের দেশ পছন্দ করার সুযোগ দেয়। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে, আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেবো। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানাবো।”
তিনি আরও বলেন, “৫৩ বছর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে, তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে, সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসে ছিল।”
প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সময় মতো পাসপোর্ট পাই না। সময় মতো পেতে হলে বাড়তি খরচ করতে হয়। আবার কেউ মারা গেলে লাশটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। দেশে যাবে, বিমান টিকিটের দাম দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ করে ফেলা হয়। এটা জুলুম।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন, ন্যায্য পাওনা পান না। সরকার ও অ্যাম্বাসি তাদের পাশে দাঁড়ায় না। তাহলে অ্যাম্বাসি এখানে কেন? অ্যাম্বাসি হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধি, এটা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অ্যাম্বাসি যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট-সমস্যা না দেখে, তাহলে এখানে দরকার নাই। অ্যাম্বাসির দায়িত্ব হলো প্রবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, বাধাগ্রস্ত হলে, এই দেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা।”
এ সময় তিনি প্রবাসীদের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানান।