spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ১১ সেনা ও ৪০ নাগরিক নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ১১ জন সেনা সদস্য এবং ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ সেনা। মঙ্গলবার (১৩ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।

- Advertisement -

পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা হতাহতের সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে নিন্দনীয় কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে।


আইএসপিআর বলছে, ‘এই বর্বর হামলায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু। এ ছাড়া আরও ১২১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ১০ জন নারী এবং ২৭ জন শিশু।’

এই ভয়াবহ আগ্রাসনের জবাবে পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং জানিয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী মারকা-ই-হকের পতাকাতলে দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে। অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুসের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এবং উন্নত প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তাদের বাহিনী।

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১১ জন সদস্য অনুকরণীয় বীরত্বের সাথে মাতৃভূমি রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হন এবং ৭৮ জন আহত হন। জানা গেছে, নিহত সেনারা সবাই ১০ মে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে আইএসপিআর।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিহতরা হলেন: নায়েক আব্দুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লাহ, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর, সিপাহী নিসার।

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যরা হলেন: স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, প্রধান টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক, সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।

আইএসপিআর জানিয়েছে, শহিদদের মহৎ আত্মত্যাগ সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের এক স্থায়ী প্রতীক – যা জাতির স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই করা আছে।

এর আগে রোববার (১১ মে) এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে তাদের পাঁচজন সৈন্যকে হারিয়েছে তারা।

পেহেলগামের হামলার পর ভারতের অভিযোগের তীর ছিল পাকিস্তানের দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান চালায় ভারত। এরপর পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা, সীমান্তে গোলাগুলি এবং বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় থামে দু’দেশের মধ্যকার সংঘাতময় পরিস্থিতি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ