spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

যুদ্ধবিরতির জন্য খামেনির কাছে ‘মিনতি’ করেছেন ট্রাম্প!

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ঘিরে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইএনএন ও ইরনা নিউজ দাবি করেছে, কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ‘সফল’ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ থামাতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

- Advertisement -

তাদের ভাষ্যমতে, ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি যুদ্ধবিরতির জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে ‘মিনতি’ করেছেন।

ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সুনিপুণ হামলা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কাঠামোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বিবৃতিটি ইরানের টেলিভিশনে একজন উপস্থাপক পড়ে শোনান, যেখানে ইরানি প্রতিরোধের প্রশংসা এবং গর্ব প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল ‘প্রায় একই সময়ে’ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়। তিনি বলেন, ‘ওই মুহূর্তে আমি জানতাম এখনই সময়।’ এরপরই তিনি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
খামেনি সম্মত হলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

এর আগে গত সোমবার (২৪ জুন) রাতে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাত দ্রুত শেষ করতে চায় ইসরায়েল। ওই কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওপর নির্ভর করছে।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, ‘তেল আবিব চাইছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সামরিক অভিযান শেষ করতে। এমনকি খামেনি সম্মত হলে আগামীকালই ( মঙ্গলবার) যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।’

সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনেও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েলের এই মনোভাবের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল এ রকম একটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দিয়েছে। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সংঘাত দীর্ঘায়িত করতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য পূরণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তবে যদি খামেনি উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলেন, তাহলে যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হতে পারে।’

ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও এতে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। তাদের ভাষায়, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে ইরানের সামরিক ও পরমাণু সক্ষমতা অনেকটা পেছনে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

তবে গতকাল যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর মিলেছে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান পাঁচ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং এর মধ্যে বির শেভা শহরে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই নিজেদের কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী দেখাতে চাইছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে ‘মিনতির’ ভাষা ব্যবহার যুদ্ধের কৌশলগত জয় হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ