আফসানা মিমি : চট্টলজ্যোতি, ইংরেজী সাহিত্যের প্রথিতযশা অধ্যাপক, গবেষক, অনুবাদক, কিংবদন্তী বাগ্মী প্রয়াত রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী স্মরণে স্মারকগ্রন্থ ‘কীর্তিশ্রয়ণ’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান গতকাল চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। স্মারকগ্রন্থ উন্মোচন, কথামালা, কবিতা পাঠের মধ্যদিয়ে স্মরণ করা হয় তাঁকে। চাক্তাই লোকনাথ ধামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্মারকগ্রন্থের মুখ্য সহায়ক অজয় কৃষ্ণ দাশ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক গুরুপদ পালিত, ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ, প্রয়াতের পুত্র ডা. ঋভুরাজ চক্রবর্তী। আবৃত্তি শিল্পী মিলি চৌধুরী ও সংস্কৃতি কর্মী পান্না তালুকদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘কীর্তিশ্রয়ণ’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক সুদর্শন চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ। স্মৃতিচারণ করেন অধ্যক্ষ আবুল হাসান, অধ্যাপক রিতেন দাশ, অধ্যাপক এস.সি পাল, উপাধ্যক্ষ আনন্দ মোহন রক্ষিত, যোগেশ্বর চৌধুরী, মিলন কান্তি দাশ, আশুতোষ সরকার, স্বপন কুমার সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াতের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। চাক্তাই লোকনাথ ধাম কর্তৃক প্রয়াতের স্মরণে প্রকাশিত ‘কীর্তিশ্রয়ণ’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষ শারীরিকভাবে বিস্মৃত হয়ে গেলেও তাঁর কীর্তি তাঁকে স্মৃতিতে ভাস্বর করে তোলে। তেমনি একজন মানুষ ছিলেন চট্টলজ্যোতি প্রফেসর প্রয়াত রনজিৎ কুমার চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন চেতনার বাতিঘর। অধ্যাপক রণজিৎ চক্রবর্তীর স্মৃতি তাঁর ছাত্রদের মনে অমলিন হয়ে থাকবে। তিনি প্রকৃতপক্ষে এমন একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি ছাত্রদের মনে কল্পনা ও সৃজনশীলতা সৃষ্টি করার সক্ষমতা রাখতেন। যে জ্ঞান তিনি অর্জন করেছিলেন কষ্ট করে, তা অন্যের মধ্যে সঞ্চারিত করারও চেষ্টা করেছেন নিবিড় পাঠদানের মাধ্যমে।