ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর বেঁচে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মাহফুজ উল্লাহ’র মেয়ে ডা: নুসরাত হুমায়রা মেঘলা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, আজ ব্যাংকক সময় ১১টা ৫ মিনিটে তার বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা: মেঘলা বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে রয়েছেন।
সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব মাহফুজউল্লাহ হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার কিডনীর অবস্থাও ছিল বেশ শোচনীয়। কখন বা কবে লাশ দেশে আনা হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারননি ডা. মেঘলা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, মাহফুজ উল্লাহর লাশ আজ শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তার প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বাদ জোহর গ্রীনরোড ডরমিটরি মসজিদে, দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ আসর জাতীয় প্রেস ক্লাবে। মরহুমের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ দাফন করা হবে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
মৃত্যুর সংবাদের পর দুপুরে তাৎক্ষণিকভাবে মরহুমের গ্রীণ রোডের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ড. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শ্যামা ওবায়েদসহ অনেকেই।
গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরে গত ১১ এপ্রিল তাকে উন্নত চিকিসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।