গণধর্ষণ শেষে বাবা-মেয়েকে হত্যা: ৫ জনের ফাঁসি

খুলনায় এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণ ও বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীসহ তাকে হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ৩ নং আদালতের বিচাকর বিচারক মোঃ মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর ৯ মাস ২৭ দিন পর রায় ঘোষণা হলো।

- Advertisement -

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই মো. শরিফুল (২৭), মো. আবুল কালামের ছেলে মো. লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে মো. আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে শরিফুল পলাতক বাকি ৪ জন আদালতে উপস্থিত ছিলো।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। মামলায় নিহত ইলিয়াস আলী হত্যা মামলায় ৫২ পৃষ্ঠার রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ব্যাংকার পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৬৫ পৃষ্ঠার রায়ে ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জারিমানা করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লবণচোরা থানার বুড়োমৌলভীর দরগাপাড়া রোডে ধর্ষণ ও জোড়া হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। আসামিরা বাড়ির প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে প্রথমে ইলিয়াছ চৌধুরীকে হত্যা ও পরে পারভীন সুলতানাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। তারা বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লাশ দুটি লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় দুটি আলাদা মামলা হয়। মামলার আসামিরা হলেন মো. লিটন, শরিফুল, পিটিল, পলাশ ও আবু সাঈদ। এর মধ্যে আসামি লিটন ও আবু সাঈদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। মামলায় ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ