spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ট্যাবলেট মেশানো পানি খাইয়ে জোর করে মিন্নির জবানবন্দি নেওয়া হয়

spot_img

 

- Advertisement -

সিদ্দিকা মিন্নির মা জিনাত জাহান বলেছেন, আমার মেয়েকে রিমান্ডের নামে আটকে রেখে রাতভর পুলিশের লিখে দেওয়া জবানবন্দি মুখস্থ করানো হয়। মিন্নিকে ট্যাবলেট মেশানো পানি খাইয়ে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সেই জবানবন্দি না দিলে মা-বাবাকে আটক করে নির্যাতন করা হবে বলেও হুমকি দেয় রিতা নামের একজন এএসআই। পুলিশি নির্যাতন ও ভয়ে আমার মেয়ে আদালতে পুলিশের লিখে দেওয়া জবানবন্দি প্রদান করেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা মাইঠা এলাকার বাসভবনে এসব কথা বলেন জিনাত জাহান। তার মেয়ে মিন্নি বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী।

জিনাত জাহান বলেন, আমার মেয়েকে তিনদিন পুলিশ না খাইয়ে রেখেছে। পানি খেতে চাইলেও তাকে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে ট্যাবলেট মিশানো পানি মিন্নিকে খেতে দেওয়া হয়। পুলিশের লেখা জবানবন্দি মুখস্থ করানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখে। বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেও পুলিশের মন গলেনি। পুলিশ আমার মেয়েকে বলতে বলে, তুমি আদালতে বলবা, আমার স্বামী তো ভালো না, তাই হালকা পাতলা মাইর দেওয়ার কথা বলেছি। তাহলে তোমার শাস্তি কম হবে। পুলিশের শিখিয়ে দেওয়া কথা অনুযায়ী মিন্নি আদালতে এরকম স্বীকারোক্তি প্রদান করে।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে আসামি শনাক্ত করার কথা বলে বরগুনার পুলিশ লাইনসের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রেখে ১০-১২ ঘণ্টা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ৪ আগস্ট আমরা মিন্নির সঙ্গে জেলা কারাগারে দেখা করতে গেলে আমাদের কাছে সেই নির্যাতনের বর্ণনা দেয় মিন্নি।

জিনাত জাহান বলেন, আমার মেয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নয়ন বন্ডের মতো গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে আমার মেয়ের সামনে এনে বলতে বলে, বল তোদের সঙ্গে মিন্নিও জড়িত ছিল। পুলিশের চাপে ও শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে তারা তা বলতে বাধ্য হয় এবং মিন্নি এই ঘটনায় জড়িত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ