মোদীর সঙ্গে কথা বলে ইমরানকে ট্রাম্পের ফোন, কাশ্মীর ইস্যুতে সংযত হওয়ার তাগিদ

 

- Advertisement -

মঙ্গলবার সকালে এক টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই ভালো বন্ধু- প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি বাণিজ্য, কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কাশ্মীরে উত্তেজনা কমাতে ভারত ও পাকিস্তানের কাজের বিষয়ে। দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাকে ‘কঠিন পরিস্থিতি, কিন্তু উত্তম আলোচনা’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করার পর হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র হোগান গিডলি বলেন, ওই ফোন আলাপে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোগান গিডলি আরো বলেন, ‘দুই নেতা (ট্রাম্প ও মোদী) কীভাবে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা শিগগিরই আবার দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

ফোনালাপের বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, কিছু নেতার চরম উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ভারতবিরোধী সহিংসতায় উস্কানি দেওয়া এ অঞ্চলের শান্তি রক্ষায় সহায়ক নয়।

মোদীর সঙ্গে ফোন আলাপের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টেলিফোন করেন ট্রাম্প। এই ফোনালাপ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার পর ইমরান খানের কাছে ফোন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় ভারতশাসিত কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইমরান খান ট্রাম্পকে বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে কারফিউ বলবত রয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে যে স্থানীয় নেতৃবৃদ্ধসহ হাজার হাজার কাশ্মীরিকে আটক করা হয়েছে এবং এদের মধ্যে মধ্যে অনেককে কাশ্মীরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের উচিত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।

গত ৫ আগস্ট ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এটিকে দ্বিখণ্ডিত করার ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই থেকেই সহিংসতার আশঙ্কায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয় গোটা উপত্যকা এলাকা। কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য, কূটনীতি, যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। গত সপ্তাহে কাশ্মীর সীমান্তে দু’বার সংঘর্ষে ভারতের এক ও পাকিস্তানের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান আরও পাঁচ ভারতীয় সেনাকে হত্যার দাবি করলেও তা অস্বীকার করেছে দেশটি।

সর্বশেষ