ইমামের কক্ষ থেকে তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: মতলব পৌরসভার পূর্ব কলাদী জামে মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে আজ জুম’আর নামাজের পর আব্দুল্লাহ আল নোমান (৫), রিফাত হোসেন (১২) ও ইব্রাহিম খলিল (১৫) নামে তিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখানো কাউকে আটক করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে ওই মসজিদের ইমাম তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে রেখে নামাজ পড়াতে যান। ওই শিশু সন্তানের সাথে আরো ২ জন শিশু-কিশোর প্রবেশ করে ইমামের রুমে। নামাজ শেষে ইমাম নিজের রুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় মুসল্লি শাহীন সরকার, সাইফুল, সুমন মোস্তাফাসহ একাধিক ব্যক্তি দরজা ভেঙ্গে ইমাম ও মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে কক্ষে প্রবেশ করেন এবং ৩ শিশু-কিশোর অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এদের দু’জন ঘটনাস্থলে মারা গেছে । একজনকে মতলব হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকেও মৃত ঘোষণা করে।

ইমাম জামাল উদ্দিন জানান, জুমার নামাজের আগে বেলা পৌনে ১ টার সময় আমি বয়ান ও খুতবার জন্য মেম্বরের দিকে যাই। নামাজ পড়ানো শেষে মসজিদে মিলাদ পড়িয়ে নিজের রুমে ফিরে আসি। ওই সময় আমার রুমের দরজা ভিতর থেকে আটকানো দেখে অনেক ধাক্কা-ধাক্কি করি। পরে মুসল্লিদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার ছেলেসহ অপর দুই শিশু-কিশোর অচেতন হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দুই মাস পূর্বে মসজিদের ইমাম হিসেবে মাওলানা জামাল উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই থেকে তার শিশু সন্তানসহ আব্দুল্লাহ আল নোমান ওই কক্ষে বসবাস করতো। পরে এক মাস পূর্বে মসজিদ সংলগ্ন মুক্তা ভিলায় বাসা ভাড়া নেন। তাদের বাড়ি বরগুনা জেলার কালাই মুদাফাত গ্রামে। এর আগে তিনি চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে জামে মসজিদে ইমামতি করতেন।

এদিকে মৃত ইব্রাহিম ও রিফাত মতলব পৌরসভার ভাঙ্গাপাড় মাদরাসার ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। রিফাতের বাবা মতলব পৌরসভার নলুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহিম খলিলের বাড়ী দশপাড়া তার পিতা আফসার উদ্দিন।

মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মাহাবুর রহমান বলেন, মৃত ঐ তিন শিশু কিশোরের মুখ থেকে শুধু ফেনা বের হচ্ছিল। ফুড পয়জিং বা অন্য কোন কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।

মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, ঘটনাস্থল ও কক্ষটি পর্যবেক্ষণ করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। এ মুহুর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম বলেন, এখনো কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফুড পয়জিং বা অন্য কোন কারণে মৃত্যু হতে পারে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। পোস্টমর্টেমের পরে কারণ জানা যেতে পারে।

সর্বশেষ