spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে: শোভনের বাবা

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য পদচ্যুত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা নূরুন্নবী চৌধুরী।

শোভনের বাবা কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ছেলের অব্যাহতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রোববার গণমাধ্যমকে নূরুন্নবী চৌধুরী বলেন, শোভন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি আমার ছেলেকে চিনি। সে এ ধরনের কাজ করতে পারে না।

তিনি বলেন, আসলে আমার ছেলে আগে থেকেই বোকা, সহজ-সরল। শোভন এরকম খারাপ ছিল না। সে সাদাসিধে ও অত্যন্ত সরল প্রকৃতির ছিল। এ কারণেই তাকে একটি চক্রের বলির পাঠা হতে হলো।

তবে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে জানিয়ে শোভনের বাবা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। তার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তিনি নিজেই শোভনকে পছন্দ করে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আবার নিজেই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

শোভনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অনেকটা অতিরঞ্জিত, সাজানো ব্যাপার বলেও দাবি করেন নূরুন্নবী চৌধুরী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবি নিয়ে ভিসির অভিযোগ প্রসঙ্গে শোভনের বাবা বলেন, এ ব্যাপারে শোভন কিছুই জানে না। সেখানে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেন সেখানকার পরিস্থিতি ঠিক হয়। আমার ছেলেকে নিয়ে যে আর্থিক বিষয়গুলো বলা হচ্ছে, সেটা তার দ্বারা সম্ভব নয়। সে পরিস্থিতির শিকার, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছি, ঘটনাস্থলে ওই দিন শোভন ছিল না। রাব্বানীরা তাকে পরে ডেকে নিয়ে যায়। শোভন উদ্ভূত পরিস্থিতি মীমাংসার জন্য সরল বিশ্বাসে সেখানে যায়। অথচ অর্থ কেলেঙ্কারিতে তাকে ফাঁসানো হলো।

শোভনের বাবা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলার সময় রাব্বানী যেহেতু একটি প্রস্তাব দিয়েছিল, সেখানে শোভন উপস্থিত থাকায় হয়তো তার নামও এসেছে। কিন্তু রাব্বানী নিজেই বলেছে, শোভন কিছু জানে না।

নূরুন্নবী চৌধুরী আরও বলেন, আওয়ামী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে এ বিষয়টির কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের সামান্যতম শ্রদ্ধা কমবে না।

প্রসঙ্গত গত শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

আর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান লেখক ভট্টাচার্য।

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসা জয়-লেখক এর আগে সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি ও এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ