spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

র‌্যাবের রিমান্ডে যুবলীগের জিকে শামীম

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: টেন্ডার, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে এবার মাদক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইন রিমান্ডে নেয়ার এ আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মাদক আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে মাদক মামলায় রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে মামলাটির তদন্তভার পুলিশ থেকে র‌্যাবের হাতে ন্যস্ত করা বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। র‌্যাব-১ এর এসআই আবদুল হালিম মাদকের এ মামলাটি তদন্ত করছেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন জিকে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়।

মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শামীমের অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার জিকে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

অস্ত্র মামলা ও মাদক মামলার এজাহারে বলা হয়, শামীমের কাছ দেহ তল্লাশি করে তার নামে একটি এনপিবি দশমিক ৩২ বোরের পিস্তল, ৪৭ রাউন্ড গুলি ও তিনটি গুলির খোসা পাওয়া যায়। তার সাত দেহরক্ষীর প্রত্যেকের কাছ থেকে কালো রঙের দশমিক ১২ বোরের একটি শটগান পাওয়া যায়।

আর দেহরক্ষী মো. দোলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে সাতটি কার্তুজ, মো. মুরাদ হোসেনের কাছ থেকে ১০টি কার্তুজ, মো. জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে তিনটি কার্তুজ, শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০টি কার্তুজ, কামাল হোসেনের কাছ থেকে ১০টি কার্তুজ, সামসাদ হোসেনের কাছ থেকে ২৩টি কার্তুজ ও আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে ১০টি কার্তুজ পাওয়া যায়।

এছাড়াও তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এ ছাড়া শামীমের বাড়ির তৃতীয় তলার অফিস কক্ষের ফ্রিজের ভেতর তার দখল ও হেফাজতে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য আনুমানিক ৩৭ হাজার ২৫০ টাকা।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ